স্বদেশ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক দশক কাটিয়ে দিলেও বয়স এমন কিছু হয়নি। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্যারিয়ারকে আরও ঋদ্ধ করতে মাত্র ২৭ বছর বয়সেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন মোহাম্মদ আমির। গত ২৬ জুলাই টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের এই বাঁ-হাতি পেসার। এখন থেকে শুধু ওয়ানডে ও টি-২০ খেলবেন আমির। সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় আমির জনালেন, ‘খেলাটির আদি ও ঐতিহ্যবাহী সংস্করণে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা অনেক বড় সম্মান। যা হোক, সাদা বলের ক্রিকেটে আরও মনোযোগী হতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।’ ওয়াসিম আকরামের পর পাকিস্তানের সেরা বাঁ-হাতি পেসার ভাবা হয় আমিরকে। মাঝে দুঃসময়ের ঘেরাটোপে আটকে যাওয়ায় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারই থমকে যেতে বসেছিল। পাকিস্তানের প্রাথমিক বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। পরে নাটকীয়ভাবে দলে ফিরে বিশ্বকাপে আমিরই ছিলেন পাকিস্তানের সফলতম বোলার। রঙিন পোশাকে বিশ্বকাপের ছন্দ ধরে রাখতেই মূলত তার এ সিদ্ধান্ত। এসেক্সের হয়ে ইংলিশ কাউন্টিতে খেলতে আমির এখন ইংল্যান্ডে রয়েছেন। যে সংস্করণকে কাল বিদায় জানালেন, সেই টেস্ট দিয়েই আমিরের উত্থান।
২০০৯ সালে গলে মাত্র ১৭ বছর বয়সে শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে নিয়েছিলেন ছয় উইকেট। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লিডস টেস্টে নেন সাত উইকেট। একই বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে চার টেস্টে ২০ উইকেট নিয়ে আমিরের নাম যখন সবার মুখে মুখে, তখনই ছন্দপতন। লর্ডস টেস্টে সতীর্থ সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফের সঙ্গে তার স্পট-ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার খবর ফাঁস হতেই বদলে যায় আমিরের পৃথিবী। পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা ভোগের পাশাপাশি ইংল্যান্ডে কিছুদিন জেলও খাটতে হয় এই ত্রয়ীকে। সেই কলঙ্কিত অধ্যায় পেছনে ফেলে ২০১৬ সালে আবার জাতীয় দলে ফেরেন আমির। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সব মিলিয়ে ৩৬ টেস্টে আমিরের প্রাপ্তি ১১৯ উইকেট। সংখ্যাটা আর বাড়বে না।